গত ১৯ জানুয়ারি রাতে সিএনজি চালক আলী হোসেন (৬০) যাত্রী পরিবহণের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলার মোক্তারপুর ব্রিজ এলাকায় অবস্থান করছিল। উক্ত সময় অজ্ঞাতনামা ৪ ছিনতাইকারী পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী যাত্রীবেশে রাজধানী ঢাকার কদমতলী থানাধীন মাতুয়াইল সাদ্দাম মার্কেটের সামনে যাওয়ার জন্য কৌশলে ৩৫০ টাকায় সিএনজিটি ভাড়া করে। সিএনজি চালক আলী হোসেন তাদের কথামতো সিএনজি চালিয়ে মাতুয়াইল যাওয়ার পথে রাত আনুমানিক ২ টায় রাজধানী ঢাকার ডেমরা থানাধীন সাইনবোর্ড মদিনা চত্বর এলাকায় পৌঁছলে ছিনতাইকারীরা আলী হোসেনকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। অতঃপর সিএনজি চালকের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ছিনতাইকারীরা আলী হোসেনকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় আল আমিন নামে এক ছিনতাইকারী স্থানীয়দের হাতে আটক হয় এবং অন্য ছিনতাইকারীরা সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনাটি জানতে পেরে ডেমরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আটককৃত ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে এবং মৃত আলী হোসেনের লাশ সুরতহাল প্রস্তুতপূর্বক ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। উক্ত ঘটনায় মৃত আলী হোসেনের ছেলে আবু ইউসুফ বাদী হয়ে একটি দস্যুতাসহ হত্যা মামলা রুজু করেন। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর হতে র্যাব বর্ণিত ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রেপ্তার আল আমিনের তথ্যমতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় অদ্য গতকাল শনিবার রাতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন শনির আখড়া এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে সিএনজি চালককে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নুর হোসেন ওরফে বাঘাকে (৪৩) গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। বাঘার দেয়া তথ্য মতে, উক্ত আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন তারাবো এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার অপর ২ আসামি লিংচাঁন ওরফে নীলচাঁন মিয়া (৩৫) ও মো. আ. মান্নান ওরফে মন্নানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এসময় তাদের কাছ হতে দস্যুতা ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত ২টি সুইজ গিয়ার চাকু ও টাই ক্যাবল উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা উক্ত ঘটনার সাথে তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
